ঢাকারবিবার , ২০ এপ্রিল ২০২৫
  1. সর্বশেষ

মহানবী সাঃ এর উপর দুরুদ পাঠের ফজিলতঃ-(২য়-পর্ব)

প্রতিবেদক
আলহাজ্ব মাওলানা গোলাম রব্বানী
১৬ অক্টোবর ২০২২, ১২:২৩ অপরাহ্ণ

Link Copied!

মহান আল্লাহর বানী-

بسم الله الرحمن الرحيم, ان الله وملائكته يصلون على النبى, ياايها الذين امنوا صلوا عليه وسلموا تسليما,,

অর্থ-” নিশ্চয় আল্লাহ নবীর (সাঃ) প্রতি অনুগ্রহ করেন এবং তাহার ফেরেশগণও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থণা করে। হে মুমিনগণ! তোমরাও নবীর জন্য অনুগ্রহ প্রার্থণা কর এবং তাহাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও। (সুরা আহযাব-৫৬,তাফসীরে ইবনে কাসীর)

★ইমাম বুখারী রহঃ বলেন- صلواة الله (আল্লাহর দুরুদ পড়ার) অর্থ হলো- আল্লাহ তা’লা(সয়ং) ফেরেশতাদের সামনে তাহার রাসুলের প্রসংশা করা, এবং صلواة ملائكة (ফেরেশতাদর দুরুদ পড়ার) অর্থ হলো- দোয়া-প্রার্থণা করা।

আয়াতের উদ্দেশ্য হলো- উর্ধ্ব আকাশে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর যে বিশেষ মর্যাদা রয়েছে তা আল্লাহর বান্দাদেরকে জানাইয়া দেওয়া। আল্লাহ তা’লা সয়ং ফেরেশতাগণের নিকট রাসুলুল্লাহ সাঃ এর প্রসংশা করেন, এবং ফেরেশতাগণও তাহার জন্য (অনুগ্রহের) প্রার্থণা করেন। অতঃপর আল্লাহ তা’লা জমিনে অবস্থানকারীদেরকে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর প্রতি সালাত ও সালামের নির্দেশ দিয়েছেন। (যাতে) এইভাবে আকাশে ও জমিনে অবস্থানকারী সকলের পক্ষ হইতে যেন রাসুলুল্লাহ সাঃ এর প্রতি সালাত ও সালাম পেশ করা হয়। (তাফসীরে ইবনে কাসীর)

দুরুদ ও সালামের পদ্ধতিঃ–

হাদিসের সকল কিতাবে বর্ণিত আছে – হযরত কা’ব ইবনে আযরা রাঃ বলেন, উপরোক্ত আলোচ্য আয়াতটি অবতীর্ণ হলে সাহাবারা জিজ্ঞাসা করিলেন, য়া রাসুলুল্লাহ সাঃ! সালামের নিয়ম তো আমরা আত্যাহিয়্যাতুর মধ্যে জানিয়াছি যে- “আসসালামু আলাইকা আইয়্যুহান নাবিয়্যু ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু” এখন আমাদের সালাত অর্থাৎ-দুরুদ পড়ার নিয়মও শিক্ষা দিন।

তখন নবী সাঃ বলেন, তোমরা এভাবে দুরুদ পড়বে-

الهم صلى على محمد وعلى ال محمد كما صليت على ابراهيم وعلى ال ابراهم…..

… এভাবে দুরুদে ইব্রাহিম শিক্ষা দিয়েছেন।
অবশ্য অন্যান্য রেওয়ায়েতে শব্দের কিছুটা পার্থক্য বিদ্যমান। সাহাবাদের প্রশ্ন করার সম্ভবত কারণ এই ছিল যে, আগেই আত্যাহিয়্যাতুর মধ্যে সালাম দেওয়ার নিয়ম শিক্ষা দেয়া হয়েছে, তাই সালাত তথা দুরুদ পড়ার ব্যাপারে তারা নিজেরা বাক্য রচনা পছন্দ করেন নি; বরং তারা সয়ং রাসুলুল্লাহ সাঃ কে জিজ্ঞাসা করে দুরুদের ভাষা ও বাক্য ঠিক করেছেন। এ কারণেই নামাজে এই ভাষার দুরুদ পাঠ করা হয়। কিন্তু এটা অপরিবর্তনীয় নয়, কারণ নবী সাঃ থেকে বিভিন্ন ভাষা ও বাক্যে অন্যান্য দুরুদও বর্ণিত আছে। সেইসব ভাষা হুবহু না হলেও দুরুদ ও সালাম সম্বলিত যে কোন ভাষায় দুরুদ ও সালাম পাঠ করলে আল্লাহর আদেশ পালিত ও সওয়াব হাসিল হয়ে যায়। তবে নবী সাঃ থেকে বর্ণিত বাক্যে দুরুদ (ও সালাম) পাঠ করা হলে অধিক বরকত ও সওয়াব হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। এজন্য সাহাবায়ে কেরামগণ নবী সাঃ এর কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করে দুরুদের ভাষা (ও বাক্য) শিখে নিয়েছিলেন। (মা’আরেফুল কোরআন)

الهم صلى على محمد…
وعلى ال محمد.

“আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা মোহাম্মদ”
“ওয়াআ’লা আলি মোহাম্মদ”

صلى الله عليه وسلم

“সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম”

রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরুদ পড়বে আল্লাহ তার উপর দশটি রহমত পাঠান, আর যে ব্যক্তি আমার উপর দশবার দুরুদ পড়বে আল্লাহ তার উপর একশতটি রহমত পাঠান, আর যে ব্যক্তি আমার উপর একশতবার দুরুদ পড়বে আল্লাহ তার উপর একহাজার রহমত পাঠাবেন, আর আল্লাহ তার কপালে দু’চোখের মাঝখানে একটি ফয়সালা লিখে দিবেন, যে- “বারাআতুম মিনান্নিফাক্বি ওয়া বারাআতুম মিনান্নারি” অর্থাৎ- এই ব্যক্তি মোনাফেক হইতেও মুক্ত জাহান্নাম হইতেও মুক্ত। এবং কেয়ামতের দিন শহীদদের সাথে তার হাশর হবে।
(সুবহানাল্লাহ) এবং যে আবেগ ও মহব্বতের সাথে আরও বেশি বেশি দুরুদ পড়বে কিয়ামতের দিন আমি তাহার জন্য সাক্ষী হইব এবং সুপারিশ করিব।(সুবহানাল্লাহ) (মুসান্নাফে ইবনে আবিশাইবা)
(ত্বাবারানী, আল-আওসাত) (মাজমাউয-যাওায়েদ)

আর মহানবি সাঃ এর প্রতি আবেগ ও মহব্বত রাখার নিদর্শন ও পরিচয় হচ্ছে বাস্তব জীবনে নবী সাঃ এর আদর্শ ও শরিয়তের পাবন্দী করা। কেননা, বলা হয়ে থাকে ‘যে যাকে ভালবাসে সে তার অনুসরণ করে থাকে, আর নবি সাঃ এর অনুসরণে তার আদর্শ ও শরিয়তের পাবন্দী করা ছাড়া আর কি হতে পারে?

এ প্রসঙ্গেই নবী সাঃ বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমাকে অনুসরণ করল সে আল্লাহকে অনুসরণ করল, আর যে আল্লাহকে অনুসরণ করল সে মহা সফলতা লাভ করল”। নবী সাঃ আরো বলেছেন, “যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে ভালবাসল (অনুসরণ করে আমল করল) সে যেন আমাকেই ভালবাসল, আর যে আমাকে ভালোবাসল সে আমার সাথে জান্নাতে অবস্থান করবে”। (তিরমিযী,নাসাঈ,ইবনে মাজাহ)

মহানবী সাঃ আরও সহজ করে বলেছেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল দশ দশবার করিয়া আমার উপর দুরুদ পাঠ করবে কেয়ামতের দিন সে আমার সুপারিশ লাভ করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবিশাইবা)
(ত্বাবারানী, আল-আওসাত) (মাজমাউয-যাওায়েদ)

আল্লাহুম্মা সাল্লি আ’লা মোহাম্মদ”
“ওয়াআ’লা আলি মোহাম্মদ”

>”সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম”

>”সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম”

আল্লাহ কবুল করুন,আমিন।

316 Views

আরও পড়ুন

ঠাকুরগাঁওয়ে ব্রাইট স্টার মডেল স্কুল এন্ড কলেজের বর্ষবরণ ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

জুরীতে ২৫ নারী উদ্যোক্তাদের গবাদি পশু ও তাঁত শিল্প সামগ্রী বিতরণ

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শেরপুরের দুই ছাত্রদল নেতা বহিষ্কার

চট্টগ্রাম পিটিআইয়ের প্রশিক্ষণার্থীদের স্কাউটসের ওরিয়েন্টেশন কোর্স

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি সহায়তায় জবি ছাত্রদলের হেল্প ডেস্ক

আজ বিশ্ব লিভার দিবস: জেনে নিন লিভার সম্পর্কে

নালিতাবাড়ীতে কিশোরীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে যুবক আটক

কাপাসিয়ায় বিরল রোগে আক্রান্ত শিশুর চিকিৎসায় সহায়তা করলেন জামায়াত নেতা আইউবী

মহেশখালী নৌঘাটে সী ট্রাক চালু ও পল্টুন স্হাপনকে স্বাগতম- ড. হামিদুর রহমান আযাদ

গরমে যেসব অসুখ বেশি হতে পারে

জামালপুরে তিন হাজার পাঁচশত পিস ইয়াবা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

বাংলাদেশ স্কাউটস বোয়ালখালী উপজেলার নির্বাহী কমিটির সভা