ঢাকাসোমবার , ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  1. সর্বশেষ

জার্মানির মসজিদ সম্পর্কে ছয়টি অজানা তথ্য

প্রতিবেদক
রফিকুল ইসলাম জসিম
১৫ অক্টোবর ২০২২, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

জার্মানিতে মসজিদের সঠিক সংখ্যা জানা যায় না৷ তবে সংখ্যাটি ২,৩৫০ থেকে ২,৭৫০ এর মধ্যে৷ জার্মান ইসলাম কনফারেন্সের গবেষণা বলছে, ২০১৯ সালে জার্মানির ৫৫ লাখ মুসলিমের ২৪ শতাংশ সপ্তাহে অন্তত একদিন মসজিদে গেছেন৷

ইস্তাম্বুলের মুফতির অনুরোধে ১৯১৫ সালে ব্রান্ডেনবুর্গে ভ্যুনশডর্ফ মসজিদ নির্মিত হয়েছিল৷ একে জার্মানি ও মধ্য ইউরোপের প্রথম ইসলামিক ভবন মনে করা হয়৷ মুসলিম যুদ্ধবন্দিদের জন্য এটি তৈরি করা হয়েছিল৷ মুসলিমদের ঔপনিবেশিক শাসক ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুসলিম বন্দিদের অনুভূতি উসকে দিয়েছিল সেই সময়কার জার্মান সাম্রাজ্য৷ পরে তাদের শপথ পড়িয়ে ‘পবিত্র যুদ্ধে’ পাঠানো হয়েছিল৷ ১৯৩০ সালে মসজিদটি ভেঙে ফেলা হয়৷

জার্মানির প্রথম মসজিদটি ভেঙে ফেলার কারণ ১৯২৮ সালে বার্লিনের ভিলম্যার্সডর্ফে নির্মিত হওয়া এই মসজিদটি (ছবি)৷ পাকিস্তানের লাহোরের আহমাদিয়া সম্প্রদায়ের জন্য মসজিদটির নকশা করেছিলেন জার্মান স্থপতি কার্ল আউগুস্ট হেয়ারমান৷ এটি এখনও টিকে আছে৷ সে হিসেবে এটি জার্মানিতে টিকে থাকা মসজিদগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো৷

২০১৭ সালে বার্লিনে ইবনে রুশদ-গ্যোয়েটে মসজিদ নির্মিত হয়৷ সেখানে নারী-পুরুষ একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন৷ নারীরা সেখানে খুতবাও দিতে পারেন৷ ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণকারী তুর্কি-কুর্দি বংশোদ্ভূত জার্মান আইনজীবী, লেখক ও নারী অধিকারকর্মী সেইরান আটেশ এই মসজিদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা৷ এমন মসজিদ নির্মাণের কারণে তিনি কয়েকবার প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন৷ তাই এখন সবসময় তাকে পুলিশি নিরাপত্তায় থাকতে হয়৷

জার্মানির মসজিদ পরিচালনায় থাকে বিভিন্ন মসজিদ সংস্থা৷ এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত ও সবচেয়ে বড় সংস্থা হচ্ছে ডিটিব৷ এটি তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সমর্থনপুষ্ট একটি সংস্থা৷ এর ইমামরা মূলত তুরস্কে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে থাকেন৷ সমালোচকরা অনেকদিন ধরেই ডিটিবের আওতাধীন মসজিদগুলোর সমাবেশে তুরস্কের প্রভাব নিয়ে সতর্ক করে আসছেন৷ ছবিতে ডিটিব পরিচালিত জার্মানির অন্যতম বড় কোলন কেন্দ্রীয় মসজিদ দেখা যাচ্ছে৷

জার্মানির বেশিরভাগ মসজিদই বাইরে থেকে চেনা যায় না বা বোঝা যায় না৷ কারণ সেগুলো কোনো ভবনের পেছনে অবস্থিত৷ একটি সরু গলি দিয়ে সেখানে ঢুকতে হয়৷ আর বেশিরভাগ মসজিদেই মিনার থাকে না৷

জার্মানির কমবেশি প্রায় আড়াই হাজার মসজিদের মধ্যে মাত্র ৩০টিতে মসজিদ থেকে নিয়মিত আজান দেয়া হয়৷ বাকিগুলোতে আজান দেয়ার বিষয়টি স্থানীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি৷ আজানবিরোধীদের যুক্তি, এতে শব্দদূষণ হয় এবং এর মাধ্যমে ধর্মীয় বিশ্বাস প্রকাশ করা হয়৷ তাদের যুক্তি, আজানের একটা ধর্মতাত্ত্বিক অর্থ আছে, যেটা গির্জার ঘণ্টাধ্বনির মধ্যে নেই৷

163 Views

আরও পড়ুন

পাঠকের অনূভুতিতে ❝কলিজার আধখান❞

অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমে বিএনপি সন্দেহ করছে–ড. হুমায়ুন কবির

বিশ্বরূপ চন্দ্র বিশ্বাসের কবিতা:- হাসি

শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গণসংবর্ধনা ও কাউন্সিল শুক্রবার

শান্তিগঞ্জে জমিয়তের গণ সমাবেশ সফল করার লক্ষে সংবাদ সম্মেলন

আইডিইবির ৫৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আধুনগর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের র‌্যালি ও আলোচনা সভা

দোয়ারাবাজারে এফআইভিডিবি’র স্বাস্থ্য সামগ্রী বিতরণ

বোয়ালখালীর নব যোগদানকৃত শিক্ষা অফিসার হারুন উর রশীদকে বরণ

জামালপুরে মৃত আইনজীবী হলেন অতিরিক্ত জিপি

তানযীমুল উম্মাহ হিফয মাদ্রাসা, সাইনবোর্ড শাখার বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

সাইফুল ইসলামের কবিতা : শীতের আমেজ

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইসলামি বক্তা আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ