মৌলবাদী ইসলামি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত বদ্ধপরিকর। উভয়েই নিজ নিজ দেশকে নিরাপদ রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করছে। আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখতে হবে। স্থানীয় সময় রবিবার বিকালে হাউস্টনে হাউডি মোদি শীর্ষক সমাবেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তিনি বলেন, আজ আমরা যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সামরিক বাহিনীর সব সাহসী সদস্যদের সম্মান জানাই, যারা আমাদের স্বাধীনতার সুরক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করছেন। মৌলবাদী ইসলামী সন্ত্রাসবাদের কবল থেকে নিরপরাধ মানুষের সুরক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের সঙ্গে একই মঞ্চে ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্রাম্পের ভাষায়, “প্রধানমন্ত্রী মোদি, আমি আপনার সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে রয়েছি… আগের চেয়েও দেশকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই। হোয়াইট হাউসে ভারতের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ভালো বন্ধু আগে কখনও ছিল না।” পুরো দুনিয়া মোদি-র নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী, সার্বভৌম ভারত প্রত্যক্ষ করছে বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প।
২০১৯ সালের জুনে ভারতের বিশেষ বাণিজ্যিক সুবিধা যুক্ত দেশের মর্যাদা কেড়ে নিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে ২২টি আমেরিকান পণ্যের ওপরে শুল্ক আরোপ করে দিল্লি। এ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্কে তৈরি হওয়া অস্থিরতা দৃশ্যত ঢেকে দিয়েছে হাউডি মোদি অনুষ্ঠানের মঞ্চ। এদিনের অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, “আজকের মতো আমেরিকায় কখনও বিনিয়োগ করেনি ভারত। অন্যদিকে আমরাও ভারতে সেটাই করছি।
মোদি-র সঙ্গে একই মঞ্চে উপস্থিত হওয়াকে শক্তি ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম ও পুরানো গণতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমরা বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ করেছি। প্রত্যেকবারই ট্রাম্প ছিলেন উষ্ণ, বন্ধুত্ত্বপূর্ণ, গ্রহণযোগ্য, উৎসাহী এবং বুদ্ধিমান… তার নেতৃত্বের ক্ষমতা, আমেরিকার জন্য তার স্বপ্ন, প্রত্যেক আমেরিকান নাগরিকের জন্য উদ্বেগ, আমেরিকার ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বিশ্বাস এবং যুক্তরাষ্ট্রকে আবারও মহান করে তোলার প্রচেষ্টা লক্ষ্য করেছি। তিনি ইতোমধ্যেই আমেরিকার অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তুলেছেন। বিশ্ব এবং আমেরিকার জন্য তিনি অনেক কিছু করেছেন।” সূত্র: এনডিটিভি।