শাহাদাত হোসেন,রামু :
রামুর গর্জনিয়া বাজারে আবারও ভুল চিকিৎসায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত শিশুটি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দৌছড়ি ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বাইশাখং ত্রিপুরা পাড়া এলাকার বতিরাম ত্রিপুরার ছেলে, চন্দ্রমনি ত্রিপুরা (৪)।
বুধবার(২ অক্টোবর) বেলা ১১ টায় গর্জনিয়া বাজারের সেবা ডায়গষ্টিক সেন্টারের নামধারী ডাক্তার সাগর দে’র ভুল চিকিৎসার কারনে শিশুটি মারা গেছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের বাবা বতিরাম ত্রিপুরা।
খবর পেয়ে গর্জনিয়া পুলিশের উপ-পরিদর্শক দেবব্রত রায়ের নেতৃত্বে, বিপুল সংখ্যক পুলিশ ওই ডায়গনষ্টিক সেন্টারটি ঘিরে রেখেছে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, নিহতের বাবা, তার শিশু সন্তানকে নিয়ে সামান্য জ্বর নিয়ে বাজারের মাছ বাজার সড়কের ওই অবৈধ সেবা ডায়গস্টিক সেন্টারে গেলে, ওখানে নিয়োজিত ডাক্তার চকরিয়া ডুলহাজারা এলাকার বাসিন্দা সাগর দে, একটি সাপোজিটরি দেওয়ার পর পরই দুটি ইনজেকশন পুশ করে। এতেই ওই শিশুটি মারা যায় বলে অভিযোগ করেন বতিরাম।
এই ঘটনার পর পরই হাসপাতালটি তালাবদ্ধ করে অভিযুক্ত ডাক্তারসহ ও কর্মকর্তা কর্মচারী সবাই পালিয়ে গেছে।
গর্জনিয়া বাজারের একজন প্রতিষ্ঠিত ফার্মাসী ব্যবসায়ী জানান ওই সেবা ডায়গনষ্টিক সেন্টারটি পরিচালনা করেন, রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের তিতার পাড়ার মৃত জাফর আলীর ছেলে ঔষুধ কোম্পানীর মহিউদ্দিন ও খুরুশকুল এলাকার মোহন দে।
আর তাদের তত্তাবধানে কাজ করেন, ডাক্তার সাগর দে।
জানা গেছে, ওই সাগর দের কোন ডাক্তারী সার্টিফিকেট না থাকলেও, সে ঔষুধের ব্যবস্থা পত্রে মেডিসিন, শিশু রোগ ও সার্জারী বিশেষজ্ঞ লিখেন দায় সারাভাবে।
এই বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত ডাক্তারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
রামু থানার ওসি মোঃ আবুল খায়ের জানান, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার কারনে রোগী মারা যাওয়ার ঘটনাটি সত্য। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হবে বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, এর ৩/৪ মাস আগেও গর্জনিয়া বাজারের ডাক্তার জহির উদ্দিন বাবুলের ভুল চিকিৎসায় কচ্ছপিয়ার এক যুবক মারা গিয়েছিল।