রাফিউল ইসলাম (রাব্বি) স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর:
রংপুরের মিঠাপুকুরে ধর্ষণের অভিযোগে ৬০ বছরের এক বৃদ্ধকে হাত-পা বেঁধে তার পুরুষাঙ্গে সাইকেলের স্পোক ঢুকিয়ে রাতভর নির্যাতন করেছেন স্থানীয় বখাটেরা।
অভিযুক্ত বৃদ্ধের নাম ফেলু মিয়া। বুধবার রাতে তাকে এ নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।
মিঠাপুকুর উপজেলার লতীবপুর ইউপির জায়গীর নিশ্চিন্তপুর গ্রামের ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে সোমবার দুপুরে তার বাড়ির পাশে একটি কলাক্ষেতে ডেকে নেয় একই গ্রামের প্রতিবেশী দাদা ফেলু মিয়া। সেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ফেলু। এরই জের ধরে বুধবার রাতে ফেলু মিয়াকে নিজ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে স্থানীয় ১০-১২ জন বখাটে যুবক রাতভর ফিল্ম স্টাইলে নির্যাতন চালায়। এতে সে গুরুতর আহত হলে বখাটেরা তাকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজনরা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমান তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। এ ঘটনা ফেসবুকে ভাইরাল হলে রংপুরের এসপি বিপ্লব কুমার সরকারের নির্দেশে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক ওই বৃদ্ধকে উলুঙ্গ করে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করছে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে। কয়েকজন আবার পেছন দিকে বারবার লাথি মারছে। মাঝে মাঝে বাইসাইকেলের স্পোক বৃদ্ধের পুরুষাঙ্গে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে। এভাবে রাতভর নির্মম নির্যাতন চালায় বখাটেরা। পরে নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুর মোহাম্মদ আরিফ জানান, ধর্ষণের শিকার ওই স্কুলছাত্রীর বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। এ ঘটনায় শিশুটির ফুফু রাহেনা বেগম বাদী হয়ে বৃদ্ধ ফেলু মিয়ার বিরদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে একটি মামলা করেছেন।
অপরদিকে, অভিযুক্ত ফেলু মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া বাদী হয়ে নির্যাতনের অভিযোগে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা করেছেন।
মিঠাপুকুর থানার ওসি জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। শিশু ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ফেলু মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে, অভিযুক্ত ফেলু মিয়ার ছেলে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: রফিকুল ইসলাম
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ, ঢাকা-১৩১০