মো: জাহিদ আলী
নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে শত্রুতার জের ধরে সবজি ক্ষেত ধ্বংস করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের ধলা গ্রামের কৃষক উজ্জল প্রাং এর শিম ক্ষেত রাতের আধারে কে বা কাহারা ধ্বংস করে। এ পর্যন্ত একই ধরনের ক্ষতি করা হয় ৫ (পাঁচ) বার বলে জানান গ্রামপ্রধানগন। উক্ত বিষয়ে কৃষক উজ্জল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান- আমি পেশায় একজন কৃষক। আমার নিজ জমিতে ফসলের মাধ্যমে আমি জীবিকা নির্বাহ করি। গত ২০১৭ সালের মাঝামাঝি’র দিকে একই গ্রামের আছান প্রাং এর ছেলে মো: আব্দুল আলিম (২২), আমার স্কুল পড়ুয়া শালিকা মুক্তা খাতুন কে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। সেই বিষয়ে ওয়ালিয় পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ করলে গ্রাম প্রধানগন দায়িত্ব নিয়ে বিষয়টি সমাধান করেন। কিন্তু আব্দুল আলীম শালিশের মধ্যেই আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি দেখায়। এবং শালিশের কিছুদিন পরই রাতের অন্ধকারে কে বা কাহারা আমার ০১ (এক) বিঘা জমির পাট কেটে রেখে যায়। তার কিছুদিন পরে আবার রাতের অন্ধকারে ১৫ (পনের) কাঠা জমির সিম গাছ উপড়ে রেখে যায়। আমি উক্ত বিষয়ে আবারও গ্রাম প্রধানদের জানাই। গ্রাম প্রধানরা শালিশের মাধ্যমে আব্দুল আলীম কে পূনরায় যেন এহেন ঘটনা না ঘটে মর্মে শাসন ও সতর্ক করে দেয়। গত ১৫/১০/২০১৯ খ্রিঃ দিবাগত রাত্রে কে বা কাহারা আবারও আমার ১ (এক) বিঘা শিম এর জমিতে ঠুকে সকল গাছের গোড়া কর্তন করে রেখে যায়। আমি গত ১৫/১০/২০১৯ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক সন্ধ্যা ৬.৩০ ঘটিকার দিকে আমার শিমের জমিতে কীটনাশক দিয়ে বাড়ী ফিরি এবং প্রতিদিনের মত ১৬/১০/২০১৯ খ্রি: সকাল ৬.০০ ঘটিকার দিকে উক্ত জমিতে গেলে আমি আমার শিমের জমির সকল গাছ মরা দেখতে পাই এবং ভাল করে লক্ষ্য করে দেখি সকল গাছের গোড়া কাটা অবস্থায় আছে। আমি জমি থেকে দ্রুত গ্রামে ফিরে গ্রাম প্রধানদের অবগত করি এবং তারা আমাকে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিলে আমি একান্ত নিরুপায় হয়ে ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে সন্দেহ মূলক একটি অভিযোগ করি। উজ্জল প্রাং আরো জানান- বিগত দিনের শালিশের পূর্বে তার কোনো শত্রু ছিলোনা এবং এই ধরনের ক্ষতি এই গ্রামে কখনও কারো ঘটেনি। পাঁচবারের ফসল নষ্ট হওয়ায় প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন উজ্জল প্রাং।
উক্ত বিষয়ে ওয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।