ষ্টাফ রিপোর্টার,সুনামগঞ্জ :
দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের পুর্ব চাইরগাও গ্রামের আব্দুল খালেকের পুত্র মুজিবুর রহমান সরল মনে পাশ্ববর্তী সোনাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র মো:ইসমাইল হোসেন ও মৃত আব্দুল আউয়ালের পুত্র মো: শরিয়ত আলী কে সরল মনে বিক্যাশ থেকে ৬৩হাজার টাকা হাওলাত ঋন দেন ইসমাইল হোসেন।
থানায় মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, অভিযোগ কারী মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই হাবিবুর রহমানের সাথে ইসমাইল হোসেনের গভীর বন্ধুত্ব থাকায় আত্বীয়তার সুবাধে বিবাদী ইসমাইল প্রায়ই মুজিবুর রহমানের বাড়িতে আসা যাওয়া ছিল, সে সুযোগে বিবাদী ইসমাইল হোসেনের মোবাইল নং- ০১৭৭৬০৭৭৩৬ থেকে বাদী মুজিবুরের মোবাইল নং- ০১৭২৭৪১৪২২৫ তে কল দিয়ে বলে কাঠের ব্যাবসায় টাকার জন্য আটক পরেছে। তাই জরুরী ভাবে বিবাদী ইসমাইল কে ৭৩ হাজার টাকা হাওলাত হিসাবে ঋন দেওয়ার জন্য। বাদী অপারগতা প্রকাশ করলেও বিবাদী ইসমাইল ও শরিয়ত আলী বার বার তাদের দুটি মোবাইল নং ০১৭৭৬০৭৭৩৬ ও ০১৭৮৪১৬৬৪০৫ থেকে অনুরোধ করায় বাদী সরল মনে স্বাক্ষী আব্দুল খালেকের নিকট থেকে টাকা ধার করে পুর্ব চাইরগাও বাজারস্থ স্বাক্ষী সাইফুল ইসলামের দোকানের বিক্যাশ নং ০১৮৭৪৩৫১২৬২ হতে বিকাশ নং ০১৭৫১২৮৮২৬৫ তে নগদ ১০ হাজার টাকা, একই বাজারের স্বাক্ষী আছাব আলীর দোকানের বিকাশ নং ০১৭৩০১৯৬১২১.০১৬৩৭৭৬৪৯৫৯ হইতে বিকাশ নং ০১৭৫১২৮৮২৬৫ তে নগদ ১৩.০০০ হাজার টাকা, নরসিংপুর ছমির উদ্দিনের দোকানের বিকাশ নং ০১৭১২৬৬৩০০০ হইতে বিকাশ নং ০১৭৫৭৫১৩০০৮ তে নগদ ৪০.০০০ হাজার সহ মোট ৬৩ হাজার টাকা বিবাদী কে দিলে বিবাদী ছাতক থেকে টাকা গুলো আনতে বললে বাদি বিবাদীর কথা মত ছাতক থেকে টাকা আনার জন্য ছাতকে গিয়ে উভয়ের মোবাইলে কল দিলে ইসমাইল ও শরিয়তের মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। বিবাদীরা একে অপরের সহযোগিতায় থাকিয়া প্রতারনার মাধ্যমে বাদি মজিবুরের কাছ থেকে ৬৩ হাজার টাকা নিয়ে ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন তালবাহানা করায় বাদী নিজে দোয়ারাবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।
দোয়ারাবাজার থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন অভিযোগ পেয়ে নরসিংপুর ইউনিয়নের সোনাপুরে গিয়ে বিবাদী কাউকে পাইনি মামলা কার্যক্রম চলছে।তদন্ত অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।