ঢাকাবুধবার , ২ জুলাই ২০২৫
  1. সর্বশেষ

দক্ষিণ সুরমা কলেজছাত্র রাহাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাদি কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার

প্রতিবেদক
নিউজ ভিশন
২৭ অক্টোবর ২০২১, ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ

Link Copied!

সিলেট ব্যুরোঃ
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় কলেজছাত্র আরিফুল ইসলাম রাহাত (১৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাদিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর থেকে মঙ্গলবারে গ্রেফতার করা হয়। সিআইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সামসুদ্দোহা সাদি দক্ষিণ সুরমার সিলাম পশ্চিমপাড়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
ফিলিপচর থেকে ভারতে পালানোর পরিকল্পনা করছিলেন সাদি। সোমবার সকালে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের মূল ফটকের ভেতরে ছুরিকাঘাতে খুন হন পুরান তেতলি গ্রামের সুরমান মিয়ার ছেলে ও কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয়বর্ষের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আরিফুল ইসলাম রাহাত। তাকে উপুর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় একই কলেজের বহিস্কৃত ছাত্র সামসুদ্দোহা সাদি ও তার সহযোগীরা। আরিফুল ইসলাম রাহাতের হত্যার ঘটনার পরপরই ঘাতক হিসেবে সামনে আসে সামসুদ্দোহা সাদির নাম।
ঘটনার দিন বেলা ১১টার দিকে রাহাত তার চাচাতো ভাই আশরাফুল ইসলাম রাফির সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে কোচিংয়ে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পথে সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা করতে তিনি কলেজে যান। কলেজ থেকে বের হওয়ার পথে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। ঘটনার সময় রাহাতের সঙ্গে থাকা চাচাতো ভাই রাফির ভাষ্যে হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত হন সাদি। তবে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে দ্রুতই সটকে পড়েন হত্যাকারীরা।
এ ঘটনায় পরদিন শুক্রবার রাতে রাহাতের চাচা শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় সাদিসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি হিসেবে নামোল্লেখ করা হয়েছে সিলাম পশ্চিমপাড়া গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে তানভির এবং আহমদপুর গ্রামের মৃত গৌছ মিয়ার ছেলে সানির।
সূত্র বলছে, রাহাতকে ছুরিকাঘাতের পরপরই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার একটি স্থানীয় বাজারে আশ্রয় নেন সাদি ও তার সহযোগীরা। তখনও তিনি জানেন না রাহাত মারা গেছেন। দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে সাদির অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ওই বাজারে উপস্থিত হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে সাদির মুঠোফোনে একটি কল আসে। হত্যার ঘটনায় সাদির দিকে অভিযোগের তীর উঠে আসায় সিলেটের স্থানীয় এক সাংবাদিক রাহাত বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মুঠোফোনে কল দেন। ২৭ সেকেন্ডের ওই ফোনালাপেই প্রথমবারের মতো সাদি জানতে পারেন রাহাত মারা গেছেন। এর পরপরই কল কেটে ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যান কিলার সাদি।
ফলে পুলিশ সাদির কাছাকাছি এসেও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন সাদি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন প্রধান অভিযুক্ত সামসুদ্দোহা সাদি। পালিয়ে চলে যান কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী ফিলিপনগর ইউনিয়নে। পাশেই ছিলো ভারতীয় সীমান্ত, মাঝখানে একটি নদী।
সীমানা পেরিয়ে ভারতে পালানোর সব পরিকল্পনা সেরে নিয়েছিলেন সাদি। কিন্তু তার সকল পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। মঙ্গলবার গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় সামসুদ্দোহা সাদিকে।

397 Views

আরও পড়ুন

কাপাসিয়ায় জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের জন্য জামায়াতের দোয়া মাহফিল

জুলাই আন্দোলন’ নিয়ে কটূক্তি: আলিম পরীক্ষার্থীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ

পুলিশ ক্যাডারে প্রথম হলেন মৌলভীবাজারের শরীফ

দলের কঠিন মুহূর্তে সাহস ও নেতৃত্ব দিয়েছি, আমি মনোনয়ন প্রত্যাশী: মোস্তাফিজুর রহমান

মিসরে ৫ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীর অনন্য অর্জন

চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধীর ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের বিনামূল্যে ফিজিওথেরাপি প্রদান

রামুর কচ্ছপিয়ায় কৃষি উপকরণ বীজ- সার নারিকেল চারা বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন

চট্টগ্রাম অঞ্চল জামায়াতের লিডারশিপ ট্রেনিংয়ে নেতৃবৃন্দরা

জুলাই : নতুন বাংলাদেশের অধরা স্বপ্ন !! খানিক মুক্তি জালিমের থাবা থেকে

ঐতিহাসিক বটতলার হামদ নাতের আসর শেষে শিক্ষার্থীরা পেলেন বই

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৬ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট পাশ

মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতী ধর্ষণের শিকার, এলাকায় উত্তেজনা