ষ্টাফ রির্পোট জৈন্তাপুর।
সিলেট জৈন্তাপুর উপজেলায় মাদ্রাসায় পড়ুয়া ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ট্রাক চালককে আটক করেছে থানা পুলিশ।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় জৈন্তাপুর উপজেলায় মাদ্রাসায় পড়ুয়া ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীকে প্রেমের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশের দল “টিম জৈন্তাপুর” ফাঁদ পেতে অভিযান করে জৈন্তাপুর ষ্টেশন বাজারস্থ জৈন্তেশ্বরী মিউজিয়াম বাড়ীর সম্মুখ হতে তাকে আটক করে।
ভিকটিম জানায়, ২মাস পূর্বে জৈন্তাপুর বাজারে রিক্সা যোগে পূর্ব বাজার এলাকায় যায় সে। ঐ সময় সে ভূল বশত রিক্সায় বেনেটি ব্যাগ বা সাইটব্যাগসহ মোবাইল ও কিছু টাকা ফেলে চলে আসে। পরবর্তীতে ঐ মোবাইল ফোনে কথা বললে রিক্সা চালক উপজেলার ফিরোজ মিয়ার রিক্সা গ্যারেজের পরিচয় দিয়ে বলে আমি কমলাবাড়ী গ্রামের মুখলেছ মিয়া। মোবাইল ব্যাগ ও টাকা আমার কাছে রয়েছে আপনি এসে নিয়ে যান।
মোবাইল, ব্যাগ ও টাকা ফেরত দেওয়ার সূত্র ধরে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের ছদ্ম নাম “মৌমিতা” সাথে সর্ম্পক গড়ে তুলে মুখলেছ। অপরদিকে উপজেলার ভিত্রিখেল ববরবন্দন গ্রামের বতাই মিয়ার ছেলে ট্রাক চালক ৩ সন্তানের জনক আব্দুর নুর উরফে খাটল(৩৮) এর সাথে আত্নিয়তার সুবাদে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে ট্রাক চালক ও মুখলেছ মোটর সাইকেল যোগে ঐ ছাত্রীকে লালাখাল এলাকার নয়াগ্রামের এক বাড়ীতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে মৌমিতাকে সে ডিবি পুলিশের সদস্য বলে পরিচয় দেয় এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য বলে ।
এঘটনার পর হতে প্রতিদিন তার সাথে আব্দুন নুর ও মুখলেছ মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে যায় এবং তাকে পূনরায় দেখা করতে বলে। সে দেখা না করলে তারা ধর্ষণের ঘটনার ভিডিও রেকর্ড আছে বলে হুমকী দেয়।
পরবর্তীতে ভিকটিম উপায়ন্তর না পেয়ে মা এবং বোন জামাইকে সব খুলে বলে। বোনের জামাই স্থানীয় এক ট্রাক চালকের মাধ্যমে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করে। তাৎক্ষনিক পুলিশের “টিম জৈন্তাপুর” অভিযানে নামে এবং ধর্ষক চালক নুরকে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্যামল বনিক আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আটক নুরকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। অপর আসামীকে আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।