মো: মোমিন খান, স্টাফ রিপোর্টার (বগুড়া) ঃ
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার গ্রামাঞ্চলে ছিচকে চুরির প্রবনতা বেড়েছে। প্রতি রাতেই কোন না কোন বাড়ি থেকে গরু, ছাগল, অটোরিক্সাসহ নানা সামগ্রি চুরির ঘটনায় সাধারণ মানুষদের রাতের ঘুম হারাম করেছে ছিচকে চোরচক্র।
গত রোববার (২৮ জানুয়ারী) দিবাগত রাতে কোমারপুর এমদাদুল হক মাস্টারের একটি গরু ও ডালম্বা গ্রামে একটি অটোরিক্সা চুরি যায়। ওই দিন ভোর রাতে আদমদীঘি সদরের তেতুঁলিয়া গ্রামে ছাগল চুরি করে পালানোর সময় জনতা চোরচক্রের তিন সদস্যকে হাতেনাতে আটক করে উত্তম মধ্যম দেয়া পর ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে থানা পুলিশে সোপর্দ করেছে। এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় চুরি মামলা হয়েছে। আটক চোরচক্রের সদস্যরা হলো আদমদীঘি উপজেলার তেতুঁলিয়া দক্ষিনপাড়ার ফেরদৌস প্রামানিকের ছেলে আনিছুর রহমান (৩২),্ একই গ্রামের কাজেম উদ্দিনের ছেলে শ্যামল প্রামানিক (৩৮) ও উথরাইল গ্রামের মাহাতাব আলীর ছেলে আব্দুল মমিন খন্দকার (৪২)। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গত দুই মাস যাবত প্রায় রাতেই কোন না কোন বাড়িতে ছিচকে চুরির ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি সালগ্রামে চারটি গরু চুরি, সান্তাহারে অটোরাইস মিলের চাল ভর্তি ট্রাক ছিনতাই, সাওইল সড়কে গোয়াল ঘর থেকে একটি গরু চুরি, শিয়ালশন চাতাল থেকে একটি গর্ভবতি গরু চুরি, উপজেলার সামনে বাসা থেকে একটি গর্ভবতি গরু চুরি, মহাসড়কে দত্তবাড়িয়া গ্রামের রুবেল নামের চালককে হত্যা করে অটোরিক্সা ছিনতাইসহ প্রায় গ্রামে চুরির ঘটনা ঘটছে। আদমদীঘির তেতুঁলিয়া গ্রামে রিক্সা ভ্যান ও দোকন ঘরের মালামাল চুরির পর গত রোববার দিবাগত রাতে কোমারপুর গ্রামের এমদাদুল হক মাস্টারের একটি গরু চুরি, ডালম্বা গ্রামে অকোরিক্সা চুরির ঘটনার পর ভোর রাতে তেতুঁলিয়া গ্রামে ছাগল চুরি করে পালানোর সময় গ্রামবাসি চোরচক্রের উক্ত তিনজনকে আটক করে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে থানা পুলিশে সোর্পদ করেন।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, ইতি পূর্বে চোরাই গরু উদ্ধারসহ বেশ কয়েকজন চোরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়া ছাগল চুরির ঘটনায় আটক তিন চোরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।