————–
এবাবের ঈদ হোক মানবের তরে,
দুঃখীদের পাশে দাড়াই আপন করে।সচেতন থাকি সব নিজ নিজ ঘরে,
সুখ-দুঃখে থাকতে চাই তোমাদের তরে।
সব ভেদাভেদ ভুলে একে অপরকে বুকে জড়ানোর দিন,সাম্য,ভালবাসা সৌহার্দ্য
ও মিলনের দিন পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা হচ্ছে কুরবানির ঈদ। হযরত আদম (আঃ) হতে প্রচলিত ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী ঈদুল আযহা আসে আনন্দের বার্তা নিয়ে। হজরত ইব্রাহীম (আঃ) এর প্রিয়পুত্র ইসমাইলকে আল্লাহতায়ালার খুশিতে কুরবানি দিতে প্রস্তুত হলে মহান আল্লাহর ইচ্ছায় আত্মত্যাগের বিনিময়ে পশু কুরবানীর প্রচলন সারা বিশ্বের মুসলমান এটি পালন করেন আল্লাহতায়ালার নৈকট্য লাভে খুশির উৎসব হিসেবে। কোভিড–১৯ মহামারি ও পরপর ৩ বারের পাহাড়ীঢলে সংগঠিত অকাল বন্যার পরবর্তী সময়ে পবিত্র ঈদুল আযহার আগমনে ঘরে ঘরে আনন্দ হোক এই আশা এবং করোনা ও বন্যাকালীন দুর্যোগ,দুঃসময় পেরিয়ে আবার সুস্থ, স্বাভাবিক, কর্মচঞ্চল জীবনে ফিরে যাব এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির তরুণ আইনজীবি গরীব,দুঃখী,মেহনতী মানুষের বন্ধু,আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী জননেতা এডভোকেট শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন-আমরা অন্যান্য বছরের মত এ বছরের ঈদুল আযহার আনন্দ সকলে মিলে উপভোগ করতে পারব না। কারণ বাংলাদেশ সহ সমগ্র বিশ্ব এক প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস দ্বারা আত্রুান্ত ও পরপর ৩ বারের বন্যা হাওর জেলা সুনামগঞ্জের সর্ব শ্রেণীর মানুষকে করেছে বিপর্যস্ত। তাই এবারের ঈদের আমেজ অনেকটা ভারসাম্যহীন হলেও মানুষের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করবে এই প্রত্যাশা রাখেন সর্ব সময়। তাছাড়া সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধির সব করণীয় ঠিকমতো মেনে চললে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। প্রতিটি পাড়া-মহল্লার মসজিদে মসজিদে ঈদের জামায়াত আদায়ে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ জানান।
ঈদ যে আনন্দবার্তা বয়ে এনেছে তার মর্মমূলে আছে শান্তি ও ভালবাসা।
সবাই নিরাপদে থাকুন ও অন্যকে নিরাপদে থাকতে পরামর্শ দিন। ঈদুল আযহা হোক সবার জীবনে নতুন আনন্দের যাত্রা। ঈদ মোবারক।
এনভি/সিলেট/আবু সঈদ